৪নং জামালপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র
বড় জামালপুর চৌধুরীহাট,
ইউনিয়নস্থ ক্লিনিক সংলগ্ন,সাদুল্রাপুর,গাইবান্ধা।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সাদুল্লপুর উপজেলা সদর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের দুরত্ব ৬ কিঃমিঃ সাদুল্লপুর উপজলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্স থেকে রিক্সা কিংবা সিএনজি যোগে ৪নং জামালপুর ইউনিয়নস্থ পচার বাজারে আসা যায়। উপজেলা খেকে ইউনিয়নে যাতায়াত ব্যবস্থা - রিক্সা - ভাড়ার হার – ১৫ - ২০ টাকা। (জনপ্রতি) সিএনজি - ভাড়ার হার - ১০- ১৫ টাকা । (জনপ্রতি) ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের তথ্য- জামালপুর থেকে মাদার গঞ্জ পর্যন্ত- রিক্সা - ভাড়ার হার - ১০ - ১৫ টাকা। (জনপ্রতি) ভ্যান - ভাড়ার হার - ১৫ - ২০ টাকা । (জনপ্রতি) জামালপুর থেকে সালাইপুর পর্যন্ত- রিক্সা - ভাড়ার হার - ১৩- ১৫ টাকা। (জনপ্রতি) ভ্যান - ভাড়ার হার - ১০ - ১২ টাকা । (জনপ্রতি) জামালপুর থেকে চিকনী পুর পর্যন্ত- রিক্সা - ভাড়ার হার - ২০ - ২৫ টাকা। (জনপ্রতি) ভ্যান - ভাড়ার হার - ১৫ - ২০ টাকা । (জনপ্রতি)
গাইবান্ধা থেকে ৯ কি.মি. পশ্চিমে সাদুল্লাপুর উপজেলায় আসতে হবে, ভাড়া অটো বাইক-২০ টকাা। সাদুল্লাপুর উপজেলা থেকে ৫ কি.মি পশ্চিমে (বড় জামালপুর বাজার যাহা বড় জামালপুর চৌধুরী হাট নামে পরিচিত) এসে নামতে হবে, ভাড়া-১০টাকা। সেখানে এসে জামালপুর সিনিয়র মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদটি উক্ত ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।
রংপুর বা মহাসড়ক দিয়ে আসতে হলে প্রথমে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় আসার মাধ্যমে প্রথমে মাদারগঞ্জ-মীরপুর আসতে হবে, পীরগঞ্জ থেকে ভাড়া- ১৫ টাকা। তারপর সোজা বড় জামালপুর বাজার এসে নামতে হবে, ভাড়া-১০টাকা। সেখানে এসে জামালপুর সিনিয়র মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদটি উক্ত ঐতিহ্যবাহী মসজিদ।
আশেপাশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বড় জামালপুর শাহী মসজিদ
মুসলিম সাম্রাজ্যের পতনের পর ইংরেজ শাসন আমলে মসজিদটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মাটির নীচে চাপা পড়ে। মসজিদ এলাকায় লোকবসতি না থাকায় বনজঙ্গল আচ্ছন্ন হয়ে মসজিদটি ঢাকা পড়ে। গত ৬০ দশকের প্রথম দিকে গাইবান্ধা মহকুমা প্রশাসক হক্কানী কুতুবউদ্দিন নামে এক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এসডিও হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর স্থানীয় লোকদের কাছে শাহী মসজিদটির ইতিকথা শোনেন। লোকজনের কথা শুনে তিনি স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় মসজিদটি অনুসন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু মসজিদটির জায়গায় বিশাল বটবৃক্ষ গজিয়ে ওঠায় মসজিদটি বটবৃক্ষের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। হঠাৎ একদিন প্রচন্ড এক ঝড়ে বটবৃক্ষটি ভেঙ্গে পড়লে স্থানীয় লোকজন মসজিদটি দেখতে পায়। সেই থেকে মানুষ মসজিদটিকে গায়েবী মসজিদ হিসাবে অবহিত করে। জামালপুর গায়েবী মসজিদের সামনে একটি বিশাল আকারের দীঘিও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। কথিত আছে আজ হতে সাতশত বছর পূর্বে এ এলাকায় খিরোধর (গঞ্জিও) নামে এক অত্যাচারী হিন্দু রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন তিনটি স্টেটের মালিক। সেই খিরোধর রাজার পাইক-পেয়াদা ছিল অনেক। রাজার পাইক-পেয়াদারা প্রজাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাত। পক্ষান্তরে প্রজারা রাজার নির্যাতন নিরবে সহ্য করত। লোকমুখে কথিত আছে, এমনি সময় সিলেটের কামেল ব্যক্তি হযরত শাহজালাল চৌধুরী (রা:) স্বপরিবারে এ এলাকায় আগমন করেন বলে । সেই থেকে মসজিদটির নামকরন হয় শাহজালাল শাহী মসজিদ এবং ইউনিয়নের নামকরন জামালপুর হয় বলে জনশ্রুতি আছে।
বড় জামালপুর শাহী মসজিদ (সামনে দিকে)
বড় জামালপুর শাহী মসজিদ (পূনার্ঙ্গ ভাবে)
বড় জামালপুর শাহী মসজিদ (পূনার্ঙ্গ ভাবে-শাহী মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড় হতে))
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস